ফেবুতে এসে দ্বীনি ভাইদের অন্তরগুলো শুকিয়ে গিয়েছে। ওতে পানি ঢালা জরুরী। তা পানি আসবে কোথা থেকে? আপাতত এর একটা উত্তর হচ্ছে কুর'আন থেকে। কুর'আনের একেকটা আয়াত আপনার অন্তরে জলসিঞ্চন করবে,মৃত গাছের পুনরায় গজানোর মত করে আপনার হৃদয়কেও আবার জীবিত করবে।.
.
কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানেন,ফেবুতে দ্বীনি লেখালেখির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম লাইক পড়ে কুর'আনের আয়াতে,তাফসির বিষয়ক পোস্টে। বিশ্বাস না হয় পর্যবেক্ষণ করে দেখুন। সবাই আসলে মজা চায়,নতুন কিছু জানতে-পড়তে চায়,আর কুর'আনের আয়াতের ক্ষেত্রে তাদের ভাব হয় এমন যে,আরে এতো জানিই।.
.
তাই তারা পড়েনা। কোনো বুযুর্গ থেকে সুন্দর কোনো কথা আমি যদি কোট করি দেখবেন প্রচুর লাইক পাব,কিন্তু একটা সুন্দর আয়াতের অর্থ যদি স্ট্যাটাসে দেই দেখা যাবে লাইকের খরা। ব্যাপারটা লাইক পাওয়া না পাওয়া নিয়ে নয়,ব্যাপার হচ্ছে লোকে পড়ে কি পড়ে না তা নিয়ে। লাইক হচ্ছে এর বহিঃপ্রকাশ মাত্র।.
.
মু'মিন হিসেবে দায়িত্ব ছিল অন্য পোস্ট পড়ি বা না পড়ি আয়াত ঠিকই পড়ব,দেখব আমার রব আমাকে কী বলেছেন। কিন্তু তা কি হচ্ছে? এজন্যই বলেছি ফেবুতে দ্বীনি ভাইদের অন্তরগুলো শুকিয়ে গেছে।.
.
আমাদের রব বলেছেন,.
.
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ ﴿٢٠٤﴾ الأعراف-٧.
.
"যখন কুর'আন তিলাওয়াত করা হয় তখন তা শ্রবণ করো এবং চুপ থাক,যাতে করে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।".
.
[ সূরা আল আ'রাফ:২০৭].
.
এতে শিক্ষার নিদর্শন রয়েছে। সে শিক্ষা আমরা কোথায় নিচ্ছি? আমরা তো কুর'আনের আয়াত লেখা স্ট্যাটাস দেখলে মনোযোগ দিয়ে পড়িনা। বুঝতে চেষ্টা করিনা যে আমাদের রব কী বললেন। এর জন্য কি জবাব দিতে হবে না? .
.
ইখতিলাফী মাস'আলা নিয়ে পোস্ট দিলে দেখা যায় লাইকের বন্যা বয়ে যায়,অমুক তমুক বিষয়ের ব্যাপারটাও তাই। ফলে আমাদের অন্তরগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।.
.
كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ﴿١٤﴾ المطفّفين-٨٣.
.
" না বরং তাদের অন্তরে মরিচা পড়েছে,যা তারা উপার্জন করেছে।".
.
[ সূরাহ আল মুতাফফিফিন:১৪].
.
আমার ভাইয়েরা সময় এখনো আছে। যেসময়টুকু পরস্পর ঝগড়াঝাঁটিতে ব্যয় করে থাকেন তা আল্লাহর কালাম অধ্যয়নে ব্যয় করুন। অন্তরকে খুলে দিন। বিভিন্ন তাফসির নিয়ে বসুন। দেখুন, একেকটা আয়াত ইলমের কি বিস্ময়কর ভাণ্ডার। একবার এর প্রেমে পড়লে আর ছাড়া পাবেন না।.
.
আর নিজের সাথে একটা চুক্তিতে আসুন যে এখন থেকে অবশ্যই কুর'আনী যে কোনো বিষয়কে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেবেন,হোক তা স্ট্যাটাস, মজলিস,হালাকা প্রভৃতি। আপনি আল্লাহর কালামকে ঊর্ধে রাখুন,আল্লাহ আপনাকে উপযুক্ত প্রতিদান দেবেন। আর দেখা যাবে এর ফলে আমাদের অন্তরের মরিচা দূর হয়ে যাবে, অন্তরগুলো নরম হবে,এই নিকৃষ্ট ভেদাভেদ নীতির হয়ত সেদিন পরিবর্তন হবে। আমরা তখন হব নিজেদের প্রতি সদয় আর কাফেরদের প্রতি কঠোর।.
.
আল্লাহ তাওফীক দাতা।
... মানযুরুল করীম
.
কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানেন,ফেবুতে দ্বীনি লেখালেখির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম লাইক পড়ে কুর'আনের আয়াতে,তাফসির বিষয়ক পোস্টে। বিশ্বাস না হয় পর্যবেক্ষণ করে দেখুন। সবাই আসলে মজা চায়,নতুন কিছু জানতে-পড়তে চায়,আর কুর'আনের আয়াতের ক্ষেত্রে তাদের ভাব হয় এমন যে,আরে এতো জানিই।.
.
তাই তারা পড়েনা। কোনো বুযুর্গ থেকে সুন্দর কোনো কথা আমি যদি কোট করি দেখবেন প্রচুর লাইক পাব,কিন্তু একটা সুন্দর আয়াতের অর্থ যদি স্ট্যাটাসে দেই দেখা যাবে লাইকের খরা। ব্যাপারটা লাইক পাওয়া না পাওয়া নিয়ে নয়,ব্যাপার হচ্ছে লোকে পড়ে কি পড়ে না তা নিয়ে। লাইক হচ্ছে এর বহিঃপ্রকাশ মাত্র।.
.
মু'মিন হিসেবে দায়িত্ব ছিল অন্য পোস্ট পড়ি বা না পড়ি আয়াত ঠিকই পড়ব,দেখব আমার রব আমাকে কী বলেছেন। কিন্তু তা কি হচ্ছে? এজন্যই বলেছি ফেবুতে দ্বীনি ভাইদের অন্তরগুলো শুকিয়ে গেছে।.
.
আমাদের রব বলেছেন,.
.
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ ﴿٢٠٤﴾ الأعراف-٧.
.
"যখন কুর'আন তিলাওয়াত করা হয় তখন তা শ্রবণ করো এবং চুপ থাক,যাতে করে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।".
.
[ সূরা আল আ'রাফ:২০৭].
.
এতে শিক্ষার নিদর্শন রয়েছে। সে শিক্ষা আমরা কোথায় নিচ্ছি? আমরা তো কুর'আনের আয়াত লেখা স্ট্যাটাস দেখলে মনোযোগ দিয়ে পড়িনা। বুঝতে চেষ্টা করিনা যে আমাদের রব কী বললেন। এর জন্য কি জবাব দিতে হবে না? .
.
ইখতিলাফী মাস'আলা নিয়ে পোস্ট দিলে দেখা যায় লাইকের বন্যা বয়ে যায়,অমুক তমুক বিষয়ের ব্যাপারটাও তাই। ফলে আমাদের অন্তরগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।.
.
كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ﴿١٤﴾ المطفّفين-٨٣.
.
" না বরং তাদের অন্তরে মরিচা পড়েছে,যা তারা উপার্জন করেছে।".
.
[ সূরাহ আল মুতাফফিফিন:১৪].
.
আমার ভাইয়েরা সময় এখনো আছে। যেসময়টুকু পরস্পর ঝগড়াঝাঁটিতে ব্যয় করে থাকেন তা আল্লাহর কালাম অধ্যয়নে ব্যয় করুন। অন্তরকে খুলে দিন। বিভিন্ন তাফসির নিয়ে বসুন। দেখুন, একেকটা আয়াত ইলমের কি বিস্ময়কর ভাণ্ডার। একবার এর প্রেমে পড়লে আর ছাড়া পাবেন না।.
.
আর নিজের সাথে একটা চুক্তিতে আসুন যে এখন থেকে অবশ্যই কুর'আনী যে কোনো বিষয়কে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেবেন,হোক তা স্ট্যাটাস, মজলিস,হালাকা প্রভৃতি। আপনি আল্লাহর কালামকে ঊর্ধে রাখুন,আল্লাহ আপনাকে উপযুক্ত প্রতিদান দেবেন। আর দেখা যাবে এর ফলে আমাদের অন্তরের মরিচা দূর হয়ে যাবে, অন্তরগুলো নরম হবে,এই নিকৃষ্ট ভেদাভেদ নীতির হয়ত সেদিন পরিবর্তন হবে। আমরা তখন হব নিজেদের প্রতি সদয় আর কাফেরদের প্রতি কঠোর।.
.
আল্লাহ তাওফীক দাতা।
... মানযুরুল করীম
No comments:
Post a Comment