শব্দ ও আয়াতের পূণরাবৃত্তির রহস্য
قرآن শরীফের سورة الفجر এর ৭ নং
আয়াতে إرامনামক একটি গোত্র কিংবা
শহরের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু إرامএর নাম কোনো ইতিহাসে
পাওয়া যায় না। তাই قرآن শরীফের
তাফসীরকারকরাও সুস্পষ্টভাবে এ শব্দটির অর্থ বলতে সক্ষম হননি।
১৯৭৩ সালে সিরিয়ার এরলূস নামক একটি পুরনো শহরে খনন কার্য চলাকালীন কিছু
পুরনো লিখন পাওয়া গেছে। এ সমস্ত লিখন পরীক্ষা করে দেখা গেছে إرامশহরের উল্লেখ আছে। এক
সময়ে এরলূস অঞ্চলের লোকজন إرامশহরের লোকজনের সংগে
ব্যবসা-বাণিজ্য করত। এ সত্যটা আবিষ্কৃত হলো মাত্র সেদিন অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে। প্রশ্ন
হচ্ছে দেড় হাজার বছর আগে নাযিল করা قرآن শরীফে এই শহরের নাম এলো
কি করে? আসলে قرآن শরীফ হচ্ছে الله تعالىর বাণী, আর الله تعالى এখানে إرامশহরের উদাহরণ দিয়েছেন।
قرآن শরীফে হযরত
মোহাম্মদ (স.) এর একজন দুশমনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সে হচ্ছে আবু লাহাব। ওহী
নাযিল হওয়ার পর যদি আবু লাহাব ইসলাম কবুল করতো তাহলে قرآن শরীফের আয়াতটি মিথ্যা প্রমাণিত
হতো, কিন্তু আবু লাহাব ইসলাম গ্রহণ করেনি এবং قرآن শরীফের বাণী চিরকালের জন্য
সত্য হয়েই রয়েছে।
قرآن শরীফে সূরা
আর الروم এ পারস্য
সাম্রাজ্য ধ্বংসের ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে এমনকি যে সময় ওহী নাযিল হয় তখন মানুষের
পক্ষে বিশ্বাস করা অকল্পনীয় ছিল যে, রোমকদের যারা পরাজিত করলো তারা অচিরেই তাদের
হাতে ধ্বংস হতে পারে, কিন্তু قرآن শরীফ এ বিষয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছে এবং তা এ
আয়াত নাযিল হবার ৭ বছর সময়ের মধ্যে, অর্থাৎ ৬২৭ খ্রিস্টাব্দে এসে সত্য প্রমাণিত
হয়েছে।
এ আয়াতে فِى
أَدْنَى الْاَرْضِ বলে الله تعالى গোটা ভূ-মণ্ডলের যে স্থানটিকে
সর্বনিম্ন অঞ্চল বলেছেন তা ছিলো সিরিয়া, ফিলিস্তিন ও জর্দানের পতিত ডেড সী এলাকা।
এ ভূখণ্ডেই ৬২৭ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ইরানীদের পরাজিত করে। মাত্র কিছুদিন আগে
আবিষ্কৃত ভূ জরিপ অনুযায়ী এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই এলাকাটা সারা দুনিয়ার মধ্যে
আসলেই নিম্নতম ভূমি। সী লেবেল থেকে ৩৯৫ মিটার নীচে। এ জায়গাটা যে গোটা ভূ-খণ্ডের
সবচেয়ে নীচু জায়গা এটা ১৪শ বছর আগে মানুষ কি করে জানবে। বিশেষ করে এমন একজন মানুষ,
যিনি ভূ-তত্ত্ব, প্রাণীতত্ত্ব ইত্যাদি কোনো তত্ত্বেরই ছাত্র ছিলেন না।
قرآن শরীফের এক
জায়গায় সমুদ্রের তরংগ সম্বন্ধে বলা হয়েছে, ঢেউ যখন অগ্রসর হয় তখন দুটি ঢেউয়ের
মধ্যবর্তী স্থান অন্ধকার থাকে। আমরা জানি হযরত মোহাম্মদ (স.) মরুভূমি অঞ্চলের
সন্তান ছিলেন, তিনি সমুদ্র কখনো দেখেননি। সুতরাং সমুদ্র তরংগের দুটি ঢেউয়ের
মধ্যবর্তী স্থান যে অন্ধকার হয় তা তিনি জানবেন কি করে? এতে
প্রমাণিত হয়, হযরত মোহাম্মদ (স.) নিজে قرآن রচনা করেননি। আসলেই প্রচণ্ড
ঝড়ের সময় সমুদ্র যখন বিক্ষুব্ধ হয় তখন দ্রুতগতিসম্পন্ন তরংগগুলোর মধ্যবর্তী অংশ
সম্পূর্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হয়।
قرآن এর আরেকটি বিস্ময়কর বিষয়
হচ্ছে, লোহা ধাতু বিবরণ। قرآن এর سورة الحديد এ الله تعالى বলেছেন, আমি
লোহা নাযিল করেছি যাতে রয়েছে প্রচুর শক্তি ও মানুষের জন্য প্রভূ কল্যাণ। লোহা
নাযিলের বিষয়টি তাফসীরকারকরা নানাভাবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন, কিন্তু যেখানে الله تعالىর নাযিল
শব্দটি রয়েছে সেখানে এতো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের দিকে না গিয়ে আমরা যদি قرآن এর আক্ষরিক অর্থের দিকে তাকাই
তাহলে দেখতে পাবো, আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভাবনীও ঠিক একই কথা বলছে। পদার্থবিজ্ঞানীরা
বলেন, লোহা উৎপাদনের জন্য ১৫ লক্ষ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন তার কোনো উপকরণ
আমাদের পৃথিবীতে নেই। এটা একমাত্র সূর্য এর তাপমাত্রা দ্বারাই সম্ভব। হাজার হাজার
বছর আগে সূর্যদেশে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ফলে লোহা নামের এ ধাতু মহাশূন্যে ছিটকে পড়ে।
পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে তা পৃথিবীতে নাযিল হয়। লোহা সম্পর্কে আধুনিক
বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত তথ্য ঠিক একথাটাই প্রমাণ করেছে। দেড় হাজার বছর আগের আরব
বেদুইনরা বিজ্ঞানের এ জটিল সূত্র জানবে কি করে...
এই সূরার আরেকটি অংকগত মোজেযাও রয়েছে। ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী سورة الحديد যা قرآن এর ৫৭ তম সূরা। আরবীতে سورة الحديدএর সংখ্যাগত
মান হচ্ছে ৫৭। শুধু الحديدএর সংখ্যাগত
মান ২৬, আর লোহার আণবিক সংখ্যার মানও হচ্ছে ২৬।
قرآن এর অনেক জায়গায়ই একের সংগে
অন্যের তুলনা উপস্থিত করা হয়েছে। এ তুলনা উপস্থিত করার ব্যাপারে একটি অবিশ্বাস্য
মিল অবলম্বন করা হয়েছে এবং তা হচ্ছে, সে দু’টি নাম অথবা বস্তুকে সমান সংখ্যাতেই الله تعالى তাঁর কিতাবে
উল্লেখ করেছেন। যেমন, قرآن শরীফে সূরা
আলে ইমরান এর ৫৯ নং আয়াতে الله تعالى বলেছেন, الله تعالىর কাছে ঈসার তুলনা
হচ্ছে আদমের মতো।
এটা যে সত্য তা আমরা বুঝতে পারি। কারণ, মানবজন্মের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়
এঁদের কারোরই জন্ম হয়নি। আদম (আঃ) এর মাতাও ছিলো না, পিতাও ছিলো না এবং ঈসা (আঃ)
এরও পিতা ছিলো না। এখন এই তুলনাটি যে কতো সত্য তার প্রমাণ পাওয়া যায় যখন আমরা قرآن শরীফে এ দুটি নামের মোট সংখ্যা
অনুসন্ধান করি। দেখা যাচ্ছে, قرآن শরীফে ঈসা (আঃ) নামটি যেমন ২৫ বার এসেছে,
তেমনি আদম (আঃ) নামটিও এসেছে ২৫ বার। قرآن এর বাণীগুলো যে মানুষের নয় তা
বোঝা যায় এ দু’টি নামের সংখ্যার সমতা দেখে। الله تعالى যেহেতু বলেছ্নে, এ দুটো একই
রকম। তাই সেগুলোর সংখ্যা গণনাও ঠিক একই রকমের রাখা হয়েছে।
এই তুলনার ক্ষেত্রে আরেকটি অলৌকিক বিষয় হলো, যেখানে তুলনাটি অসম সেখানে
সংখ্যা দুটিকেও অসম বলা হয়েছে। যেমন, قرآن এ বলা হয়েছে সুদ এবং বাণিজ্য
এক নয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এ শব্দ দু’টির একটি قرآن এ এসেছে ৬ বার অন্যটি ৭ বার।
বলা হয়েছে, জান্নাতের অধিবাসী ও জাহান্নামের অধিবাসী সমান নয়। জান্নাতের
সংখ্যা হচ্ছে ৮, আর জাহান্নামের সংখ্যা হচ্ছে ৭।
سورة
أعراف এ এক আয়াতে আছে ‘যারা আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে
তাদের উদাহরণ হচ্ছে কুকুরের মতো’। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয় যখন আমরা দেখি, যারা
আমার সুস্পষ্ট আয়াতকে অস্বীকার করে’ এই বাক্যটি قرآن এ সর্বমোট ৫ বার এসেছে। যেহেতু
তাদের উদাহরণ দেয়া হয়েছে কুকুরের সাথে, তাই সমগ্র قرآن এ الكلب তথা কুকুর শব্দটাও এসেছে ৫
বার।
سبع
سموات কথাটির অর্থ হলো সাত আসমান। আশ্চর্য হলো, قرآن এ এই সাত আসমান কথাটা ঠিক সাত
বারই এসেছে। خلق
السموات আসমানসমূহের সৃষ্টির কথাটাও ৭ বার এসেছে, সম্ভবত আসমান ৭টি তাই। سبعة أيام মানে ৭ দিন। একথাটাও قرآن এ ৭ বার এসেছে।
অংকগত মোজেযা এখানেই শেষ নয়।
দুনিয়া ও আখেরাত এ দু’টো কথাও قرآن এ সমান সংখ্যায় এসেছে, অর্থাৎ
সর্বমোট ১১৫ বার করে।
ঈমান ও কুফর শব্দ দু’টোও সমপরিমাণে
বলা হয়েছে, অর্থাৎ ২৫ বার করে।
গরমও ঠাণ্ডা যেহেতু দু’টি বিপরীতমুখী ঋতু, তাই এ শব্দ দুটো সমান সংখ্যক
অর্থাৎ ৫ বার করে এসেছে।
আরবী ভাষায় قل মানে বলা,
তার জবাবে বলা হয় قالوا মানে তারা
বললো। সমগ্র قرآن এ ৩৩২ বার করে আছে।
মালাকুন কিংবা মালায়েকাহ ফেরেশতা কিংবা ফেরেশতারা। قرآن এ এ শব্দটি এসেছে ৮৮ বার।
একইভাবে ফেরেশতার চির শত্রু শয়তান কিংবা শায়াতীন এ শব্দটিও এসেছে ৮৮ বার।
الخبيث মানে
অপবিত্র, الطيب মানে
পবিত্র। সমগ্র قرآن এ এ দু’টি শব্দ মোট ৭ বার করে,
অর্থাৎ একই সংখ্যায় নাযিল হয়েছে।
প্রশ্ন জাগতে পারে দুনিয়ায় ভালোর চাইতে মন্দই তো বেশী,
তাহলে এখানে এ দুটো শব্দকে সমান রাখা হলো কিভাবে। এ কথার জবাবের জন্যে قرآن এর سورة الأنفال
৩৭ নম্বর আয়াতটির দিকে লক্ষ্য করা যাক। এখানে الله تعالى
বলেছেন, অপবিত্রকে পবিত্র থেকে আলাদা করার জন্যে তিনি অপবিত্রকে একটার ওপর আরেকটা
রেখে পুঞ্জীভূত করেন এবং সেগুলোকে জাহান্নামের আগুনে ফেলে দেন। এতে বুঝা যায়, যদিও
পাপ পুণ্য’ সমান সংখ্যায় এসেছে, কিন্তু ‘পুঞ্জীভূত’ করা দিয়ে তার পরিমাণ যে বেশী
তা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
يوم মানে দিন সমগ্র قرآن এ এ শব্দটি
৩৬৫ বার উল্লেখ করা হয়েছে। বছরে যে ৩৬৫ দিন, এটা কে না জানে। يوم
শব্দের বহুবচন أيام মানে দিনসমূহ, এ শব্দটি এসেছে ৩০
বার। আরবী ভাষায় চাঁদ হচ্ছে মাসের সূত্র সূচক। গড়ে বছরের প্রতি মাসে ৩০ দিন, এটাই
হচ্ছে চন্দ্রবছরের নিয়ম। হতবাক হতে হয় যখন দেখি, চাঁদের আরবী প্রতিশব্দ قمر
শব্দটি قرآن এ ৩০ বারই
এসেছে
شهر মানে মাস, قرآن
মাজীদে এ শব্দটি এসেছে মোট ১২ বার। سنة মানে বছর, قرآن এ এ শব্দটি
এসেছে ১৯ বার। কারণ হিসেবে আমরা সম্প্রতি আবিষ্কৃত গ্রীক পণ্ডিত মেতনের ‘মেতনীয়
বৃত্তের’ কথা উল্লেখ করতে পারি। তিনিই প্রথম এ তত্ত্বটি আবিষ্কার করেন যে, প্রতি
১৯ বছর পর সূর্য ও পৃথিবী একই বৃত্তে অবস্থান করে।
قرآن
এ فُجّارٌ (পাপী)
শব্দটি যতবার এসেছে, أبرار (পুণ্যবান) শব্দটি তার দ্বিগুণ
এসেছে। অর্থাৎ فُجّار ৩ আর أبرار
৬ বার এসেছে। এর কারণ হচ্ছে শাস্তির তুলনায় পুরষ্কারের পরিমাণ الله تعالى
দ্বিগুণ দিবেন বলে ওয়াদা করেছেন। قرآن
এর سورة سبإٍ ৩৭ নং আয়াতে الله تعالى
বলেছেন এ ধরনের লোকদের জন্যই (কেয়ামতে) দ্বিগুণ পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকবে। এটা
হচ্ছে বিনিময় সে কাজের যা তারা দুনিয়ায় করে এসেছে’। এ কারণেই দেখা যায় গোটা قرآن এ পাপী ও
পুণ্যবান শব্দের মতো عذاب শব্দটি যতবার এসেছে, ثواب
শব্দটি তার দ্বিগুণ এসেছে। অর্থাৎ عذاب ১১৭ বার, ثواب
২৩৪।
قرآن
এ একাধিক জায়গায় الله تعالى বলেছ্নে, আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়
করলে তিনি তার বিনিময় বাড়িয়ে দেবেন। সম্ভবত এ কারণেই قرآن এ গরীবী
শব্দটি এসেছে ১৩ বার, আবার তার বিপরীতে প্রাচুর্য শব্দটি এসেছে ২৬ বার।
قرآن
এ কারীমের বিভিন্ন জায়গায় এভাবে গাণিতিক সংখ্যার অদ্ভূত মিল দেখে قرآن এর যে কোনো
পাঠকই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে ভাবতে থাকে, এটা নিঃসন্দেহে কোনো মানুষের কথা নয়।
কোনো একটি কাজ করলে তার যে অবশ্যম্ভাবী ফল দাঁড়াবে তার
উভয়টিকে আশ্চর্যজনকভাবে সমান সংখ্যায় বর্ণনা করা হয়েছে। ‘গাছের চারা উৎপাদন করলে
গাছ’ হয়। তাই এ দু’টো শব্দই এসেছে ২৬ বার করে। কোনো মানুষ হেদায়েত পেলে তার প্রতি
রহমত বর্ষিত হয়। তাই এ দুটো শব্দ قرآن
এ এসেছে ৭৯ বার করে। হায়াতের অপরিহার্য পরিণাম হচ্ছে মওত। এ শব্দ দুটোও এসেছে ১৬
বার করে। الله تعالى বলেছেন যাকাত বরকত আসে, তাই قرآن এ কারীমে
যাকাত শব্দ এসেছে ৩২ বার, বরকত শব্দও ৩২ বার এসেছে। আবদ মানে গোলামী, আর আবীদ মানে
গোলাম। গোলামের কাজ গোলামী করা, তাই قرآن
এ এই উভয় শব্দই এসেছে ১৫২ বার করে। ‘মানুষ সৃষ্টি’ কথাটা এসেছে ১৬ বার, আর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে এবাদাত সুতরাং তাও
এসেছে ১৬ বার। ‘নেশা’ করলে ‘মাতাল’ হয়, তাই এ দুটো শব্দও এসেছে ৬ বার করে।
আর মাত্র দুটো মোজেযা বলে আমরা ভিন্নদিকে অগ্রসর হব।
قرآن
এ إنسان শব্দটি এসেছে ৬৫ বার, এবার إنسان
বানানোর উপকরণগুলোকে قرآن
এর বিভিন্ন জায়গা থেকে যোগ করে মিলিয়ে দেখা যাক। প্রথম উপাদান تراب
(মাটি) এসেছে ১৭ বার, দ্বিতীয় উপাদান نطفة (জীবনকণা) এসেছে ১২ বার, তৃতীয় উপাদান علق (রক্তপিন্ড)
এটি এসেছে ৬ বার, চতুর্থ উপাদান مضغة (মাংসপিন্ড)
এটি এসেছে ৩ বার। পঞ্চম উপাদান হচ্ছে عظام (হাড়), এটি
এসেছে ১৫ বার। সর্বশেষ উপাদান হচ্ছে لحم (গোশত), এ
শব্দটি এসেছে ১২ বার। قرآن
এ উল্লিখিত ( سورة الحج) এ উপাদানগুলো যোগ করলে যোগফল
হবে ঠিক ৬৫। আর এসব উপাদান নিয়ে যে إنسان বানানো হয়েছে
তাও ঠিক ৬৫ বার উল্লেখ করা হয়েছে।
الله تعالى ই قرآن
এর سورة القمر এর প্রথম যে আয়াতটিকে চাঁদ
বিদীর্ণ হওয়ার সাথে কেয়ামতের আগমন অত্যাসন্ন কথাটি বলেছেন, আরবী বর্ণমালার আক্ষরিক
মান হিসাব করলে তার যোগফল হয় ১৩৯০, আর এই ১৩৯০ হিজরী (১৯৬৯ খৃস্টাব্দ) মানুষ
সর্বপ্রথম চাঁদে আবতরন করে, জানি না এটা قرآن
এর কোনো মোজেযা, না তা এমনিই এক ঘটনাচক্র, কিন্তু الله تعالىর এই মহান সৃষ্টিতে তো ঘটনাচক্র বলতে কিছুই নেই। এ কারণেই হয়ত মানুষের চাঁদে
অবতরণের সাথে قرآن
এর আলোচ্য আয়াতটির সংখ্যামানের এই বিস্ময়কর মিল আমরা দেখতে পাচ্ছি।