Sunday, October 11, 2020

ই পাসপোর্ট

 ই-পাসপোর্টের আদ্যোপান্ত


শুরু করছি মহান সৃষ্টিকর্তার নামে যিনি পরম করুণাময় এবং অসীম দয়ালু।


বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কিংবা ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের কার্যক্রম ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে ২০২০ সালের ২২শে জানুয়ারি এই কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই ই-পাসপোর্টের আবেদনসহ যাবতীয় সকল বিষয় নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছেন। ভোগাটাও স্বাভাবিক কারণ, ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত সুস্পষ্ট তথ্য আমরা সব জায়গায় পাই না। দেখা যায়, এ সকল যাবতীয় তথ্যের জন্যে আমাদের একমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার উপরেই নির্ভর থাকতে হয় যেখানে মানুষজনের ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার কারণে আমরা সঠিক তথ্যটি না পেয়ে বেশ বিভ্রান্তিতে থাকি।


তাই আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য থাকবে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যগুলো ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে সবার মাঝে তুলে ধরার এবং খুঁটিনাটি সকল বিভ্রান্তি দূর করার।


তবে এই পোস্টটি সবচেয়ে উপকারী হবে তাদের জন্যে, যারা কিনা সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে, কোনো দালালের সাহায্য ছাড়া, সম্ভাব্য তারিখের মধ্যেই জীবনের প্রথম পাসপোর্ট এবং ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে চান।


আমার ই-পাসপোর্ট জার্নিঃ


48 pages, 10 years.


পাসপোর্ট টাইপঃ ORDINARY

ডেলিভারী টাইপঃ REGULAR


Account Create: 16th September 2020

Application Submitted: 16th September 2020

Enrollment Completed: 23rd September 2020

Enrolled, Pending Approval: 23rd September to 6th October 2020

Approved: 6th October 2020

Passport Shipped: 7th October 2020

Passport Received: 8th October 2020

Tentative Collection Date: 14th October 2020


২১ দিনের পাসপোর্ট ১৫ দিনেই হাতে, আলহামদুলিল্লাহ!


ই-পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার ধাপ সমূহঃ


১. অনলাইনে আবেদন এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া।

২. পেমেন্ট।

৩. অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী সকল ডকুমেন্টসহ নিজ নিজ পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে সেগুলো জমা দিয়ে, ছবি তোলা, বায়োমেট্রিকসহ যাবতীয় সকল কাজ শেষ করে ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে আসা।

৪. পুলিশ ভেরিফিকেশন।

৫. পাসপোর্ট হাতে পাওয়া।


কোন কোন ব্যাংক ই-পাসপোর্টের ফি জমা নেয়ঃ


১. ওয়ান ব্যাংক

২. ব্যাংক এশিয়া

৩. সোনালী ব্যাংক

৪. প্রিমিয়ার ব্যাংক

৫. ট্রাস্ট ব্যাংক

৬. ঢাকা ব্যাংক


ই-পাসপোর্টের যাবতীয় ফিঃ


৪৮ পেইজ, মেয়াদঃ ৫ বছর।


রেগুলারঃ ৪,০২৫ টাকা, ২১ কার্য দিবসে।

এক্সপেসঃ ৬,৩২৫ টাকা, ১০ কার্য দিবসে।

সুপার এক্সপ্রেসঃ ৮,৬২৫ টাকা, ২ কার্য দিবসে।


৪৮ পেইজ, মেয়াদঃ ১০ বছর।


রেগুলারঃ ৫,৭৫০ টাকা, ২১ কার্য দিবসে।

এক্সপেসঃ ৮,০৫০ টাকা, ১০ কার্য দিবসে।

সুপার এক্সপ্রেসঃ ১০,৩৫০ টাকা, ২ কার্য দিবসে।


৬৪ পেইজ, মেয়াদঃ ৫ বছর।


রেগুলারঃ ৬,৩২৫ টাকা, ২১ কার্য দিবসে।

এক্সপেসঃ ৮,৬২৫ টাকা, ১০ কার্য দিবসে।

সুপার এক্সপ্রেসঃ ১২,০৭৫ টাকা, ২ কার্য দিবসে।


৬৪ পেইজ, মেয়াদঃ ১০ বছর।


রেগুলারঃ ৮,০৫০ টাকা, ২১ কার্য দিবসে।

এক্সপেসঃ ১০,৩৫০ টাকা, ১০ কার্য দিবসে।

সুপার এক্সপ্রেসঃ ১৩,৮০০ টাকা, ২ কার্য দিবসে।


ই-পাসপোর্টের জন্যে কি কি কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা অত্যাবশ্যকীয়ঃ


মূল কপিঃ


১. নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র

২. নিজের স্টুডেন্ট কিংবা জব আইডি (আবেদনের সময় প্রোফেশন “ছাত্র” দিয়ে থাকলে আপনাকে স্টুডেন্ট আইডি প্রদর্শন করতে হবে, “চাকুরীজীবী” দিয়ে থাকলে জব আইডি)

৩. নাগরিক সনদ/প্রত্যয়ন পত্র (স্থায়ী এবং অস্থায়ী এই দুই ঠিকানা থেকেই আপনাকে সেই এলাকার কাউন্সিলর কিংবা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এই নাগরিক সনদ/প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে। এই নাগরিক সনদ/প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহনের জন্যে আপনাকে আপনার এনআইডি কার্ডের এক কপি ফটোকপি এবং স্থায়ী/অস্থায়ী ঠিকানার বিদ্যুৎ বিলের এক কপি ফটোকপি সাথে করে নিয়ে কাউন্সিলর কিংবা চেয়ারম্যানের অফিসে যেতে হবে। সকালে কাগজপত্র জমা দিলে বিকেলের মধ্যেই সনদ হাতে পেয়ে যাবেন। এই সনদের জন্যে কোনোরকম আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন হয় না।)


ফটোকপিঃ


১. নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র।

২. নিজের স্টুডেন্ট কিংবা জব আইডি।

৩. এসএসসি সার্টিফিকেট।

৪. এইচএসসি সার্টিফিকেট।

৫. নাগরিক সনদ/প্রত্যয়ন পত্র।

৬. বাবার জাতীয় পরিচয় পত্র।

৭. মা’র জাতীয় পরিচয় পত্র।

৮. ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ/ওয়াসা/টেলিফোন) তবে বিদ্যুৎ বিলটাই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য।

৯. খতিয়ান কিংবা সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স পেমেন্টের রশিদ। (ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকেই মূলত খতিয়ান বলে। যাদের স্থায়ী ঠিকানায় নিজেদের বাড়ি আছে তাদের কাছ থেকে এই খতিয়ান কিংবা সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স পেমেন্টের রশিদের এক কপি ফটোকপি পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় প্রয়োজন হবে)


সাজেশনঃ সবগুলোরই একাধিক কপি সাথে রাখবেন, যে কোন সময়ই কাজে লাগতে পারে।


কিভাবে অনলাইন আবেদন করবেনঃ


১. প্রথমে ই-পাসপোর্টের ( https://epassport.gov.bd/ ) এই ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনাকে “Apply Online for e‑Passport / Re‑Issue” অপশনটির নিচে থাকা “Directly to online application” এ ক্লিক করে সেখানে যাবতীয় তথ্য ইনপুট দেওয়ার পর আপনার ই-মেইলে একটি কনফার্মেশন মেইল যাবে। সেই মেইলে একটি অ্যাকটিভেশন লিংক দেওয়া থাকবে যাতে ক্লিক করার পর আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাকটিভ হবে এবং এপ্লাই করার জন্য প্রস্তুত হবে। মেইলটি ইনবক্সে খুঁজে না পেলেও “জাংক/স্প্যাম” ফোল্ডারে পেয়ে যাবেন।


সাজেশনঃ ধরুন, আপনি অ্যাকাউন্ট খুললেন কিন্তু এপ্লাই করলেন না, সেক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইটে বলা আছে আপনার একাউন্টটি ২১ দিন পর অটোমেটিক্যালি ডিলিট হয়ে যাবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি হয় না। দেখা যায়, আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট হয়ে গেলেও আপনার দেওয়া সকল তথ্য তাদের সার্ভারে থেকে যায়। অর্থাৎ সেই তথ্যগুলো (এনআইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল) ব্যবহার করে আপনি নতুন করে আর কোনো অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না এবং আবেদন করতে পারবেন না। এইক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করতে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আলাদাভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে। তাই সাজেশন থাকবে কেবলমাত্র আবেদন করতে চাইলেই সকল তথ্যগুলো দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলবেন। আবেদন করার মেন্টালিটি না থাকলে অযথা অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।


২. এরপর এক এক করে নির্ভুলভাবে সকল তথ্য দিয়ে আপনার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।


সাজেশনঃ আবেদন করার পূর্বে ইউটুব থেকে ১-২ টি টিউটোরিয়াল দেখে অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করবেন। এটি আপনাকে নির্ভুল অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি হুবাবু এনআইডি অনুসরণ করে সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন, “ডট” থেকে শুরু করে “ঠিকানা”পর্যন্ত যা যা আছে সব কিছুই। এতে আপনার পাসপোর্ট করা খুবই সহজ হয়ে যাবে।


দুটি ভালো টিউটোরিয়ালের লিঙ্ক দিলামঃ


https://www.youtube.com/watch?v=gTT9frWc7AY&t=130s&ab_channel=TechUnlimited

https://www.youtube.com/watch?v=J8ce9Wsth1s&t=685s&ab_channel=AndroidLectureBD


৩. আবেদন সম্পন্ন করার পরের ধাপ হচ্ছে পেমেন্ট সিলেকশন। পেমেন্ট সিলেকশনের ক্ষেত্রে আপনি দুটি অপশন পাবেন, একটি “অনলাইন পেমেন্ট” যেটি আপাতত বন্ধ আছে। আরেকটি “অফলাইন পেমেন্ট” অর্থাৎ আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।


সাজেশনঃ আমার ব্যাক্তিগত সাজেশন থাকবে, অফলাইন পেমেন্ট সিলেক্ট করে ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে আসুন।


৪. পেমেন্ট সিলেকশনের পরের ধাপ হচ্ছে “এপয়েন্টমেন্ট নেওয়া”। অর্থাৎ আপনি কোন দিন, কোন সময়ে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত থেকে সকল কাগজপত্র জমা দিতে চান সেটির একটি এপয়েন্টমেন্ট নেওয়া লাগে।


সাজেশনঃ ধরুন, আপনি ২০ অক্টোবর এপয়েন্টমেন্ট নিলেন দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে। আপনার RPO যদি আগারগাঁও হয়ে থাকে তাহলে বলবো সেখানে শুধুমাত্র ডেট ম্যাটার করে, টাইম ম্যাটার করে না। অর্থাৎ, আপনি যদি ২০ অক্টোবর এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ২০ অক্টোবরেই উপস্থিত থাকতে হবে। আপনি কোনোভাবে ১৯ অক্টোবরে কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন না। কিন্তু আপনার এপয়েন্টমেন্ট টাইম যদি ২০ অক্টোবর দুপর ১ টা ৩০ মিনিটে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ২০ অক্টোবর যে কোনো টাইমেই সেটি জমা দিতে পারবেন। যেমন, আমার এপয়েন্টমেন্ট টাইম ছিলো দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে কিন্তু আমি সেখানে উপস্থিত হই সকাল ৯ টায় এবং সব কাজ শেষ করে বের হই দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে। তবে আপনি যদি কোনোভাবে ভীড়ের কারণে ২০ অক্টোবরে কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হন সেক্ষেত্রে আপনি পরের দিন এসে কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন।


৫. অ্যাপ্লিকেশন সাবমিটের পর আপনার সামনে “Print Summary” এবং “Download Application Form for Printing” নামক দুটি অপশন আসবে। এই ফাইল দুটি ডাউললোড করে রেখে দিবেন।


সাজেশনঃ আপনার ড্রাইভে পিডিএফ ফাইল দুটি আপলোড করে ব্যাকাপ হিসেবে রাখতে পারেন। বিপদের সময় কাজে আসবে।


আবেদন করার সময় আমি নিজে যেসব কনফিউশনে ভুগেছিঃ


১. Given Name এবং Surname: এটি অনেক কমন একটি কনফিউশন। সহজ বাংলায় যদি বলতে চাই তাহলে বলবো, “Given Name” হচ্ছে আপনার নামের “প্রথম অংশ” এবং “Surname” হচ্ছে আপনার নামের শেষের অংশ। অর্থাৎ, আপনার নাম যদি হয়ে থাকে “Asad Uz Zaman” তাহলে আপনার “Given Name” হবে “Asad Uz” এবং “Surname” হবে “Zaman”। কিংবা আপনার নাম যদি “Abdur Rahman” হয়ে থাকে তাহলে আপনার “Given Name” হবে “Abdur” এবং “Surname” হবে “Rahman”


২. Given Name (Optional): আবেদন করার সময় লক্ষ্য করলে দেখবেন তারা “Given Name” অর্থাৎ নামের প্রথম অংশের জায়গাটায় অপশনাল রেখেছে। তাদের ভাষ্যমতে, আবেদনের সময় আপনি আপনার নামের প্রথম অংশ ফিলাপ না করলেও আপনার আবেদনটি গ্রহণ হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই “Given Name” ফিলাপ করা অত্যাবশ্যকীয়। আপনি যদি “Given Name” এর অংশটি ফাঁকা রাখেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাবে এই ভুলের কারণে আপনার বেশ ঝামেলা পোহাতে হবে। তাই সাজেশন থাকবে “Given Name” অপশনাল হলেও অবশ্যই অবশ্যই তা ফিলাপ করবেন।


৩. City/Village/House: এই অপশনটিতে অনেকেই ভুল করে বাসার ঠিকানা না দিয়ে নিজের জেলার নাম লিখে ফেলেন। এই ভুল কখনোই করবেন না। এই অপশনটি দেওয়া হয়েছে আপনার বাসার ঠিকানা লিখার জন্যে। আপনার বাসার যদি কোনো স্পেসিফিক “Road/Block/Sector” নাম্বার দেওয়া না থাকে তাহলে “City/Village/House” এই অপশনটিতে আপনার বাসার ঠিকানা সুন্দর করে স্পষ্ট করে ফিলাপ করবেন।


৪. Guardian Name: ফর্মে যদি বাবা-মায়ের সকল তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে আর গার্ডিয়ান নেম ফিলাপ করার প্রয়োজন নেই।


৫. Name or Address issue: আবেদন সম্পূর্ণ করার পর যখন অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের পিডিএফটা ওপেন করি তখন দেখতে পাই আমার গার্ডিয়ান নেইম একটু বড় হওয়ার কারণে ফর্মে সেটির অর্ধেক উল্লেখ হয় নি। এইরকম কেসে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, আপনি যদি সঠিকভাবে সকল তথ্য দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ফর্মের বারকোড স্ক্যান করলেই আপনার অনলাইন আবেদনের সকল তথ্য সেখানে নির্ভুল্ভাবে পাওয়া যাবে। ঠিকানার ক্ষেত্রেও সেইম। প্রিন্টেবল ফর্মে জায়গা সংকটের কারণে এরকমটা হয়ে থাকে কিন্তু তাদের সার্ভারে আপনার ইনপুট দেওয়া সকল তথ্যগুলোই থাকে যায়।


৬. অ্যাপ্লিকেশন ফাইনাল সাবমিশনের আগে তারা আপনাকে একটি ওভারভিউ দেখাবে যেখানে আপনি চাইলে আপনার তথ্যগুলো পুনরায় এডিট করতে পারবেন কিন্তু সাজেশন থাকবে সেখানে কোনো প্রকার এডিট করতে যাবেন না। কারণ অনেকেরই দেখলাম এডিট করার পরেও তাদের ফর্মে তথ্যের কোনো চেইঞ্জ হয় নি। তাই চেষ্টা করবেন প্রথম সাবমিশনেই প্রত্যেকটি তথ্য নির্ভুল্ভাবে দেওয়ার এবং সাবমিশনের আগে তথ্যগুলো বার বার চেক করে নেয়ার।


ই-পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়াঃ


ই-পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়া বেশ সহজ একটি কাজ। আমি ব্যাংক এশিয়াতে জমা দিয়েছিলাম। ব্যাংকে ঢুকেই গার্ডদের জিজ্ঞেস করার পর তারা আমাকে একটি “Deposit Slip” ধরিয়ে দেয় যেখানে কিনা “Passport fees for MRP” লিখা ছিলো। কনফিউশন দূর করতে তাদের এক কর্মচারীকে জিজ্ঞেস করার পর জানতে পারি ব্যাংক এশিয়াতে “e-Passport” এবং “MRP” এর জন্যে একই ডিপোসিট স্লিপ। জাস্ট ফি জমার দেওয়ার মুহূর্তে তাদেরকে স্পষ্ট করে বলে নিবেন আপনি “ই-পাসপোর্ট”এর জন্যে ফি জমা দিচ্ছেন। তবে ফি জমা দেওয়ার সময় নাকি অনেকের কাছেই ই-পাসপোর্টের অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম দেখতে চেয়েছে কিন্তু আমার কাছে তা চায় নি। আমার কাছ থেকে তারা ফি'র সাথে এনআইডি কার্ডের এক কপি ফটোকপি রেখেছে। সবশেষ পেমেন্ট রিসিট নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।


পেমেন্ট রিসিপটের ২ টি অংশ থাকবে, ১. “Applicant’s Copy” এবং ২. “PP Office Copy”। “Applicant’s Copy” টি ছিঁড়ে নিজের কাছে রেখে দিবেন এবং “PP Office Copy” টি অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের সাথে রেখে দিবেন। এটি এপয়েন্টমেন্টের দিন সাথে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।


সাজেশনঃ ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার সময় ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের এক কপি, নিজের এনআইডি কার্ডের এক কপি ফটোকপি এবং মূল এনআইডি সাথে রাখবেন।


অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন কি কি সাথে নিবেন এবং কিভাবে নিবেন?


কি কি সাথে নিবেনঃ


১. অবশ্যই “প্রিন্ট সামারি” (কালার প্রিন্ট, যেন বারকোড স্পষ্ট দেখা যায়, যেখান থেকে প্রিন্ট করাবেন সেখানে বলে নিবেন লেজার কালার প্রিন্ট করাতে চাই যেন বারকোড দেখা যায়)।


২. ই-পাসপোর্টের অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম (কালার প্রিন্ট, যেন বারকোড স্পষ্ট দেখা যায়, যেখান থেকে প্রিন্ট করাবেন সেখানে বলে নিবেন লেজার কালার প্রিন্ট করাতে চাই যেন বারকোড দেখা যায় এবং চেষ্টা করবেন ফর্মটা উভয় পেইজে প্রিন্ট করতে অর্থাৎ ২টি A4 সাইজ পেইজের মধ্যে ৩ পেইজ অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম)।


৩. ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা পেমেন্ট রিসিপ্ট।


মূল কপিঃ


১. নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র

২. নিজের স্টুডেন্ট কিংবা জব আইডি

৩. নাগরিক সনদ/প্রত্যয়ন পত্র

৪. অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে্র সময় যদি বাবা-মা-গার্ডিয়ান অথবা ঠিকানায় কোনো প্রকার ভূল করে থাকেন সেক্ষেত্রে সেগুলো সঠিক প্রমাণ করে সংশোধনের জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মূল এবং ফটোকপি।


ফটোকপিঃ


১. নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র।

২. নিজের স্টুডেন্ট আইডি কিংবা জব আইডি।

৩. নাগরিক সনদ/প্রত্যয়ন পত্র।

৪. ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ/ওয়াসা/টেলিফোন) তবে বিদ্যুৎ বিলটাই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। এখানে, কয় মাস আগের বিদ্যুৎ বিল দেখাতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই, আমি ২০১৭ সালের এক কপি দেখিয়েছিলাম কারণ ২০১৮ সাল থেকেই আমাদের বাসায় কার্ড সিস্টেমে বিদ্যুৎ বিল পে করতে হয়। তবে ব্যাকআপ হিসেবে ওয়াসা কিংবা টেলিফোনের রিসেন্ট এক কপি বিল সাথে রাখতে পারেন।


কিভাবে নিবেন?


এই সেকশনটায় বেশ কিছু তথ্য জানার আছে। এগুলো যদি বাসা থেকেই ঠিকঠাক করে যেতে পারেন তাহলে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অযথা এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না।


১. ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা আপনার পেমেন্ট রিসিপ্টের “PP Office Copy” টি ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের ডান পাশে একদম উপরে আঠা দিয়ে লাগাবেন, আই রিপিট আঠা দিয়ে। অনেকেই স্ট্যাপ্লার মেরে জমা দিয়েছে তবে আঠা দিয়ে লাগানোটাই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য।


২. (প্রিন্ট সামারি - ই-পাসপোর্টের অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম - নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি - নিজের স্টুডেন্ট কিংবা জব আইডি কার্ডের ফটোকপি - বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি) বাম থেকে ডানে, অর্থাৎ সর্ব বামে যেটি আছে সেটি হবে সবার উপরে, এই ক্রমে সকল ডকুমেন্টসগুলো একসাথে স্ট্যাপল করে নিয়ে যাবেন, আপনার বেশখানেকটা সময় বাঁচবে।


৩. অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের “৩ নাম্বার” পেইজের একদম নিচে “Signature of Applicant” ঘরে আপনার এনআইডি অনুযায়ী নিজ হাতে বলপেন দিয়ে সিগনেচার করবেন এবং পাশে থাকা “Date” ঘরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেটের তারিখটি বসিয়ে নিবেন।


মিশন পাসপোর্ট অফিসঃ


এবার হচ্ছে আপনার ই-পাসপোর্ট করার মূল ধাপ অর্থাৎ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সকল ডকুমেন্টস জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করে আসা। আমার RPO যেহেতু আগারগাঁও ছিলো সেহেতু চেষ্টা করবো আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সকল খুঁটিনাটি তথ্যাদি সরবরাহ করার।


১. প্রথম ধাপঃ প্রথম ধাপে আপনাকে গেটে ঢুকেই লাইনে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। “MRP” এবং “E-Passport” এর জন্যে লাইন একই সুতরাং কনফিউজড না হয়ে সামনে থাকা লাইনে দাঁড়িয়ে যাবেন। লাইন এগোতে এগোতে সামনে পাবেন একটি ডেস্কবক্স যেখানে আপনার সকল ডকুমেন্টস চেক করার পর আপনার ফর্মে “DHAKA RPO INTRANCE, তারিখ এবং একটি নাম্বার” সম্বলিত সিল দিয়ে আপনাকে পাশের রুমে যেতে বলবে।


সাজেশনঃ এই জায়গাটায় সাধারণত বেশ গরম থাকে এবং সকালের দিকে প্রচুর ভীড় থাকে। সুতরাং, যাদের গরম সহ্য হয় না তারা সাথে করে একটি হাত পাখা নিয়ে আসবেন এবং যারা এই লাইনের ভীড় এড়াতে চান তাদের জন্যে সকালে না আসাটাই উত্তম। চেষ্টা করবেন লাঞ্চ টাইমের আগে আসার, তখন এই জায়গাটা পুরোটাই ফাঁকা থাকে।


২. দ্বিতীয় ধাপঃ এই ধাপটি হচ্ছে সবচেয়ে ফালতু এবং কষ্টকর ধাপের মধ্যে একটি। আপনাকে যে পাশের রুমে যেতে বলবে সে রুমটির কাউন্টারের উপর দুটো নাম্বার দেখতে পাবেন যার প্রথমটি “১০৩”এবং দ্বিতীয়টি “১০৬”। “১০৬”নাম্বার নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথার কোনো প্রয়োজন নেই কারণ সেটি “MRP” পাসপোর্ট এর জন্যে। আপনাকে “১০৩” নাম্বার কাউন্টারের “পুরুষ”কিংবা “মহিলা” লাইনে দাঁড়াতে হবে। যেখানে আপনার সকল ডকুমেন্টসের সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের মূলকপি এবং স্টুডেন্ট/জব আইডি কার্ডের মূলকপির সকল তথ্য যাচাই করার পর আপনার ফর্মে “Assistant Director” কর্তৃক একটি সিল এবং “আবেদিত”সিল দিয়ে আপনাকে “৩০৮” নাম্বার রুমে পাঠানো হবে।


সাজেশনঃ এই জায়গাটিতে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা অথচ এই জায়গায় তাদের কাজের ধীরগতির কারণে আমাকে ৩ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। পাশাপাশি এখানকার এসির অবস্থা খুবই বাজে তাই হাতের কাছে একটি হাত পাখা এবং এক বোতল পানি রাখলে কষ্টের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে।


৩. তৃতীয় ধাপঃ “৩০৮” নাম্বার মূলত কোনো রুম নয়, এটি ৩য় তলায় সিড়ির পাশে রাখা একটি ডেস্ক যেখানে একজন আর্মি আপনার ফর্মে একটি সিরিয়াল নাম্বার এবং একটি রুম নাম্বার লিখে দিবে। এই সিরিয়াল নাম্বার অনুসারে, ফর্মে লিখিত রুম নাম্বারে আপনার ছবি তোলা সহ যাবতীয় সকল বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করা হবে। আমার ক্ষেত্রে রুম নাম্বার ছিলো “৫০৩”। অনেকের ক্ষেত্রে সেই রুম নাম্বার ছিলো “৪০৩”।


সাজেশনঃ এখানে আগে আগে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন। কারণ, এখান থেকে যত দ্রুত সিরিয়াল নিতে পারবেন, আপনার বায়োমেট্রিকের কাজও তত দ্রুত শেষ হবে।


৪. চতুর্থ ধাপঃ এই ধাপে দেখা পাবেন পুরো পাসপোর্ট অফিসের সবচেয়ে সাপোর্টিভ মানুষজনদের। “৫০৩”অথবা “৪০৩” নাম্বার রুমে আপনার ছবি তোলাসহ সকল বায়োমেট্রিক (ফিংগারপ্রিন্ট, আইরিশ স্ক্যান, সিগন্যাচার) কাজ সম্পন্ন করা হবে। আপনার অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে করা যেকোনো ধরনের ভুল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনি এখান থেকে সংশোধন করে নিতে পারবেন। এরপর আপনার সকল ডকুমেন্টস এখানে স্ক্যান করা হবে। সকল কাজ শেষে আপনাকে একটি ডেলিভারী স্লিপ দিয়ে বলা হবে সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে। যাচাই করার পর সেখানে দুই জায়গায় আপনার সিগনেচার নিয়ে তারা নিজেদের কাছে অফিস কপি রেখে আপনাকে আপনার ডেলিভারী স্লিপ দিয়ে দিবে, যেটি প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনি আপনার তৈরী হওয়া পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।


সাজেশনঃ প্রথমত, সাদা এবং হালকা রঙের সকল পোষাক, টুপি, চশমা, ক্যাপ, কপালে টিপ ইত্যাদি পরে ছবি তোলা যাবে না। কালারফুল জামা পরে গেলে ছবি ভালো আসবে। মনে রাখবেন ছবি তোলার চান্স একবারই, সুতরাং, চেষ্টা করবেন সেই মুহূর্তে নিজেকে যতটা পারফেক্টভাবে তুলে ধরা যায়। দ্বিতীয়ত, ডেলিভারী স্লিপটি মনোযোগ সহকারে চেক করবেন এবং স্লিপে কোনোরকম ভুল লক্ষ্য করলে সাথে সাথে অপারেটরদের জানাবেন। তা না হলে আপনার পাসপোর্টে ভুল তথ্য চলে আসবে। তৃতীয়ত, এই রুমের সকল কাজ শেষ করার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পাসপোর্ট অফিসে অবস্থান করে চেক করবেন আপনার মোবাইল নাম্বারে “Your enrollment has been successfully completed” লিখা কোনো মেসেজ এসেছে কিনা। যদি না এসে থাকে, তাহলে আবারো সেই রুমে গিয়ে তাদেরকে বিষয়টা জানাবেন কারণ গ্রুপে অনেকেরই দেখলাম এই প্রব্লেমটির জন্যে ফের পাসপোর্ট অফিসে যেতে হয়েছে, যেখানে আপনি রুম থেকে বের হওয়ার আগেই এই মেসেজটি আপনার মোবাইল ফোনে চলে আসার কথা। আমার ক্ষেত্রে মেসেজটি ২ মিনিটেই চলে এসেছিলো সুতরাং, এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন।


এর মাধ্যমেই পাসপোর্ট অফিসের সকল কাজ শেষ। ডেলিভারী স্লিপ নিয়ে বাসায় চলে যান।


পুলিশ ভেরিফিকেশনঃ


যেসব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে (ফটোকপি) :


১. নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র।

২. নিজের স্টুডেন্ট কিংবা জব আইডি।

৩. এসএসসি সার্টিফিকেট।

৪. এইচএসসি সার্টিফিকেট।

৫. নাগরিক সনদ/প্রত্যয়ন পত্র।

৬. বাবার জাতীয় পরিচয় পত্র।

৭. মা’র জাতীয় পরিচয় পত্র।

৮. ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ/ওয়াসা/টেলিফোন) তবে বিদ্যুৎ বিলটাই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য।

৯. খতিয়ান কিংবা সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স পেমেন্টের রশিদ (মূলত যাদের স্থায়ী ঠিকানায় নিজেদের বাড়ি আছে তাদের কাছ থেকে এই খতিয়ান কিংবা সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স পেমেন্টের রশিদটি চাওয়া হয়)


অভিজ্ঞতাঃ


পুলিশ ভেরিফিকেশন, কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়া! জ্বী, ঠিকই শুনেছেন।


আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে, শত শত নর্দমার কীটের মাঝে দেখা পাবেন এমন কিছু সৎ মানুষের, যারা কিনা নিঃস্বার্থভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাবে, বাড়িয়ে দিবে সহযোগীতার হাত। ঠিক এমনই এক মানুষের দেখা পেয়েছিলাম পুলিশ ভেরিফিকেশনে। এনরোলমেন্ট কমপ্লিট হওয়ার ১ দিন পরেই (বৃহস্পতিবার) ফোনে মেসেজের মাধ্যমে তিনি জানিয়ে দেন কি কি কাগজপত্রগুলো রেডি রাখতে হবে। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালের ভিতর সব কাগজপত্র রেডি করে জুম্মার পর তাকে ফোন দেই এবং লাঞ্চের পর পরে সে এসে হাজির হয়। তিনি এসেই আমাকে ২টি ফর্ম ফিলাপ করতে দেয় যেখানে একটি ছিলো আমার নিজের পরিচয়, আরেকটি বাবার অঙ্গীকারনামা। কিভাবে কি লিখতে হবে উনিই সব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ফর্ম ফিলাপ শেষে সকল ডকুমেন্টস একসাথে স্ট্যাপল করে নিয়ে তিনি চলে যান, রেখে যান সততার পদচিহ্ন।


*উল্লেখ্য আমার স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঠিকানা একই হওয়ার কারণে একবারই পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়েছে।


*আপনি যদি সাকসেসফুলি পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার এনরোলমেন্ট কমপ্লিট করে আসেন তাহলে ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে আপনার স্ট্যাটাস দেখাবে "Enroled, pending approval"। এর মানে হচ্ছে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি পাসপোর্ট অফিস কর্তৃক এনরোল্ড হয়েছ, শুধুমাত্র পুলিশ ভেরিফিকেশনটি বাকি। অর্থাৎ, যখন আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে, তখন আপনার স্ট্যাটাস দেখাবে “Approved”।


তো, অনেকেরই দেখা যায় পুলিশ ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকদিন ধরে “Enroled, pending approval” স্ট্যাটাসে আটকে থাকে।


যেমন, আমার এই স্ট্যাটাসে ১৩ দিন আটকে ছিলো যেখানে এসআইকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলে প্রতিবারই একই উত্তর পেতাম, “আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি পরের দিনেই পাঠিয়ে দিয়েছি”।


আবার, অনেকেই দেখলাম সেইম সিচুয়েশন ফেস করে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের উত্তর, “আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন জমা হয় নি”।


এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি?


সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে "Contact" এ থাকা "Support Request" এ আমার সমস্যাটার কথা বিস্তারিত তুলে ধরি। সেখান থেকে আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া না পেয়ে টানা ১৩ দিন “Enroled, pending approval” স্ট্যাটাসে আটকে থাকার পর সিদ্ধান্ত নেই AD (adpassport@passport.gov.bd) এবং DD (ddpassport@passport.gov.bd) বরাবর একটি মেইল করবো। যদিও আমার পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট ছিলো ১৪ই অক্টোবর তাই ডেলিভারি ডেটের আগে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে চাই নি। তবে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি যেন ১৪ তারিখের ভিতরেই পাসপোর্ট হাতে পাই, কোনোরকম লেট যেন না হয় এবং বিস্ময়করভাবে তাদেরকে মেইল করার ২ দিন পর আমার স্ট্যাটাস “Enroled, pending approval” থেকে “Approved” হয়ে যায়।


এখন, এটা কি এমনিতেই হলো নাকি মেইলের কারণে হলো সঠিক জানা নেই।


তবে যাদের ডেলিভারি ডেট পার হয়ে গেছে কিন্তু এখনো “Enroled, pending approval” এ আটকে আছে তাদের বলবো অতি জলদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে। যদি সেখান থেকে বলা হয় আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশনটি জমা হয় নি তখন তৎক্ষনাৎ থানায় যোগাযোগ করবেন এবং লেগে থাকবেন। এক পরিচিত ভাইয়ের সেইম সিচুয়েশন ফেস করতে হয়েছিলো এবং তিনি থানায় যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যাটা বেশ জলদি সমাধান করে ফেলেন।


ই-পাসপোর্ট কালেশনঃ


ই-পাসপোর্ট কালেক্ট করাও বেশ সহজ একটি প্রোসেস। সোজা তৃতীয় তলায় উঠে হাতের ডান পাশে এগোলেই দেখতে পাবেন ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি কাউন্টার (৩০১)। সেখানে আপনার ডেলিভারি স্লিপ জমা নিয়ে আপনাকে একটি সিরিয়াল নাম্বার সম্বলিত টোকেন দেওয়া হবে যার ভিত্তিতে আপনার ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি করা হবে। উপরে থাকা স্ক্রিনে আপনার টোকেন নাম্বার শো করলে আপনার ফিংগারপ্রিন্ট দেওয়ার মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ই-পাসপোর্ট।


পোস্টটি বেশ বড় হয়ে যাওয়ায় আন্তরিক দুঃখিত। তবে চেষ্টা করেছি নিজের সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে, আশা করি তা পেরেছি।


ধন্যবাদ।


Monday, March 16, 2020

Live update for Corona Virus

https://www.worldometers.info/coronavirus/
This site will show you live update for Coronavirus Cases, Deaths, Recovered people.
You can find here graph and the ratio of according to sex, age and list of everything for every country.  

Saturday, March 14, 2020

Wednesday, February 19, 2020

মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র

১.৩.২ মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র


মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র

মুখবন্ধ

যেহেতু মানব পরিবারের সকল সদস্যের সমান ও অবিচ্ছেদ্য অধিকারসমূহ এবং সহজাত মর্যাদার স্বীকৃতি‌ই হচ্ছে বিশ্বে শান্তি,    স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তি;+
যেহেতু মানব অধিকারের প্রতি অবজ্ঞা এবং ঘৃণার ফলে মানুবের বিবেক লাঞ্ছিত বোধ করে এমন সব বর্বরোচিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং যেহেতু এমন একটি পৃথিবীর উদ্ভবকে সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ কাঙ্খা রূপে ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে সকল মানুষ ধর্ম এবং বাক স্বাধীনতা ভোগ করবে এবং অভাব ও শংকামুক্ত জীবন যাপন করবে;+
যেহেতু মানুষ যাতে অত্যাচার ও উত্‍পীড়নের মুখে সর্বশেষ উপায় হিসেবে বিদ্রোহ করতে বাধ্য না হয় সেজন্য আ‌ইনের শাসন দ্বারা মানবাধিকার সংরক্ষণ করা অতি প্রয়োজনীয়;+
যেহেতু জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়াস গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক;+
যেহেতু সদস্য জাতিসমূহ জাতিসংঘের সনদে মৌলিক মানবাধিকার, মানব দেহের মর্যাদা ও মূল্য এবং নারী পুরুষের সমান অধিকারের প্রতি তাঁদের বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বৃহত্তর স্বাধীনতার পরিমণ্ডলে সামাজিক উন্নতি এবং জীবনযাত্রার উন্নততর মান অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছেন;+
যেহেতু সদস্য রাষ্ট্রসমূহ জাতিসংঘের সহযোগিতায় মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমূহের প্রতি সার্বজনীন সন্মান বৃদ্ধি এবং এদের যথাযথ পালন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ;+
যেহেতু এ স্বাধীনতা এবং অধিকারসমূহের একটি সাধারণ উপলব্ধি এ অঙ্গীকারের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ+
এজন্য এখন+

সাধারণ পরিষদ

এই+

মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র

জারি করছে+
এ ঘোষণা সকল জাতি এবং রাষ্ট্রের সাফল্যের সাধারণ মানদন্ড হিসেবে সে‌ই লক্ষ্যে নিবেদিত হবে, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি এবং সমাজের প্রতিটি অঙ্গ এ ঘোষণাকে সবসময় মনে রেখে পাঠদান ও শিক্ষার মাধ্যমে এ‌ই স্বাধীনতা ও অধিকার সমূহের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে সচেষ্ট হবে এবং সকল সদস্য রাষ্ট্র ও তাদের অধীনস্থ ভূখণ্ডের জাতিসমূহ উত্তরোত্তর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়াসের মাধ্যমে এ‌ই অধিকার এবং স্বাধীনতাসমূহের সার্বজনীন ও কার্যকর স্বীকৃতি আদায় এবং যথাযথ পালন নিশ্চিত করবে।+

ধারা ১

সমস্ত মানুষ স্বাধীনভাবে সমান মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাঁদের বিবেক এবং বুদ্ধি আছে; সুতরাং সকলেরই একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্বসুলভ মনোভাব নিয়ে আচরণ করা উচিত।+

ধারা ২

এ ঘোষণায় উল্লেখিত স্বাধীনতা এবং অধিকারসমূহে গোত্র, ধর্ম, বর্ণ, শিক্ষা, ভাষা, রাজনৈতিক বা অন্যবিধ মতামত, জাতীয় বা সামাজিক উত্‍পত্তি, জন্ম, সম্পত্তি বা অন্য কোন মর্যাদা নির্বিশেষে প্রত্যেকের‌ই সমান অধিকার থাকবে।+
কোন দেশ বা ভূখণ্ডের রাজনৈতিক, সীমানাগত বা আন্তর্জাতিক মর্যাদার ভিত্তিতে তার কোন অধিবাসীর প্রতি কোনরূপ বৈষম্য করা হবেনা; সে দেশ বা ভূখণ্ড স্বাধীন‌ই হোক, হোক অছিভূক্ত, অস্বায়ত্বশাসিত কিংবা সার্বভৌমত্বের অন্য কোন সীমাবদ্ধতায় বিরাজমান।+

ধারা ৩

জীবন, স্বাধীনতা এবং দৈহিক নিরাপত্তায় প্রত্যেকের অধিকার আছে।+

ধারা ৪

কা‌উকে অধীনতা বা দাসত্বে আবদ্ধ করা যাবে না। সকল প্রকার ক্রীতদাস প্রথা এবং দাসব্যবসা নিষিদ্ধ করা হবে।+

ধারা ৫

কা‌উকে নির্যাতন করা যাবে না; কিংবা কারো প্রতি নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ করা যাবে না অথবা কা‌উকে এহেন শাস্তি দেওয়া যাবে না।+

ধারা ৬

আ‌ইনের সামনে প্রত্যেকের‌ই ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি লাভের অধিকার আছে।+

ধারা ৭

আ‌ইনের চোখে সবা‌ই সমান এবং ব্যক্তিনির্বিশেষে সকলে‌ই আ‌ইনের আশ্রয় সমানভাবে ভোগ করবে। এ‌ই ঘোষণা লঙ্ঘন করে এমন কোন বৈষম্য বা বৈষম্য সৃষ্টির প্ররোচনার মুখে সমান ভাবে আশ্রয় লাভের অধিকার প্রত্যেকের‌ই আছে।+

ধারা ৮

শাসনতন্ত্রে বা আ‌ইনে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত জাতীয় বিচার আদালতের কাছ থেকে কার্যকর প্রতিকার লাভের অধিকার প্রত্যেকের‌ই রয়েছে।+

ধারা ৯

কা‌উকে‌ই খেয়ালখুশীমত গ্রেপ্তার বা অন্তরীণ করা কিংবা নির্বাসন দে‌ওয়া যাবে না।+

ধারা ১০

নিজের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ এবং নিজের বিরুদ্ধে আনীত ফৌজদারি অভিযোগ নিরূপণের জন্য প্রত্যেকের‌ই পূর্ণ সমতার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ বিচার-আদালতে প্রকাশ্য শুনানি লাভের অধিকার রয়েছে।+

ধারা ১১

১. দন্ডযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের নিশ্চিত অধিকারসম্বলিত একটি প্রকাশ্য আদালতে আ‌ইনানুসারে দোষী প্রমাণিত না হ‌ওয়া পর্যন্ত নির্দোষ গণ্য হ‌ওয়ার অধিকার থাকবে।+
২. কা‌উকে‌ই এমন কোন কাজ বা ক্রটির জন্য দণ্ডযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না, যে কাজ বা ক্রটি সংঘটনের সময় জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আ‌ইনে দণ্ডনীয় অপরাধ ছিলনা। দণ্ডযোগ্য অপরাধ সংঘটনের সময় যে শাস্তি প্রযোজ্য ছিল, তার চেয়ে গুরুতর শাস্তি‌ও দে‌ওয়া চলবে না।+

ধারা ১২

কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কিংবা তাঁর গৃহ, পরিবার ও চিঠিপত্রের ব্যাপারে খেয়ালখুশীমত হস্তক্ষেপ কিংবা তাঁর সুনাম ও সম্মানের উপর আঘাত করা চলবে না। এ ধরনের হস্তক্ষেপ বা আঘাতের বিরুদ্ধে আ‌ইনের আশ্রয় লাভের অধিকার প্রত্যেকের‌ই রয়েছে।+

ধারা ১৩

১. নিজ রাষ্ট্রের চৌহদ্দির মধ্যে স্বাধীনভাবে চলাফেরা এবং বসবাস করার অধিকার প্রত্যেকের‌ই রয়েছে।+
২. প্রত্যেকের‌ই নিজ দেশ সহ যে কোন দেশ পরিত্যাগ এবং স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের অধিকার রয়েছে।+

ধারা ১৪

১. নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পা‌ওয়ার জন্য ভিন্নদেশে আশ্রয় প্রার্থনা করবার এবং সে দেশের আশ্রয়ে থাকবার অধিকার প্রত্যেকের‌ই রয়েছে।+
২. অরাজনৈতিক অপরাধ এবং জাতিসংঘের উদ্দেশ্য এবং মূলনীতির পরিপন্থী কাজ থেকে সত্যিকারভাবে উদ্ভূত অভিযোগের ক্ষেত্রে এ অধিকার প্রার্থনা না‌ও করা যেতে পারে।+

ধারা ১৫

১. প্রত্যেকের‌ই একটি জাতীয়তার অধিকার রয়েছে।+
২. কা‌উকে‌ই যথেচ্ছভাবে তাঁর জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, কিংবা কারো জাতীয়তা পরিবর্তনের অধিকার অগ্রাহ্য করা যাবে না।+

ধারা ১৬

১. ধর্ম, গোত্র ও জাতি নির্বিশেবে সকল পূর্ণ বয়স্ক নরনারীর বিয়ে করা এবং পরিবার প্রতিষ্ঠার অধিকার রয়েছে। বিয়ে, দাম্পত্যজীবন এবং বিবাহবিচ্ছেদে তাঁদের সমান অধিকার থাকবে।+
২. বিয়েতে ইচ্ছুক নরনারীর স্বাধীন এবং পূর্ণ সম্মতিতে‌ই কেবল বিয়ে সম্পন্ন হবে।+
৩. পরিবার হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক এবং মৌলিক গোষ্ঠী-একক, সুতরাং সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা লাভের অধিকার পরিবারের রয়েছে।+

ধারা ১৭

১. প্রত্যেকের‌ই একা অথবা অন্যের সঙ্গে মিলিতভাবে সম্পত্তির মালিক হ‌ওয়ার অধিকার আছে।+
২. কা‌উকে‌ই যথেচ্ছভাবে তাঁর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা বাবে না।+

ধারা ১৮

প্রত্যেকের‌ই ধর্ম, বিবেক ও চিন্তার স্বাধীনতায় অধিকার রয়েছে। এ অধিকারের সঙ্গে ধর্ম বা বিশ্বাস পরিবর্তনের অধিকার এবং এ‌ই সঙ্গে, প্রকাশ্যে বা একান্তে, একা বা অন্যের সঙ্গে মিলিতভাবে, শিক্ষাদান, অনুশীলন, উপাসনা বা আচারব্রত পালনের মাধ্যমে ধর্ম বা বিশ্বাস ব্যক্ত করার অধিকার‌ও অন্তর্ভূক্ত থাকবে।+

ধারা ১৯

প্রত্যেকের‌ই মতামত পোষণ এবং মতামত প্রকাশের স্বাধীনতায় অধিকার রয়েছে। অবাধে মতামত পোষণ এবং রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে যে কোন মাধ্যমের মারফত ভাব এবং তথ্য জ্ঞাপন, গ্রহণ ও সন্ধানের স্বাধীনতা‌ও এ অধিকারের অন্তর্ভূক্ত।+

ধারা ২০

১. প্রত্যেকের‌ই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশগ্রহণ ও সমিতি গঠনের স্বাধীনতায় অধিকার রয়েছে।+
২. কা‌উকে কোন সংঘভূক্ত হতে বাধ্য করা যাবে না।+

ধারা ২১

১. প্রত্যক্ষভাবে বা অবাধে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজ দেশের শাসন পরিচালনায় অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেকের‌ই রয়েছে।+
২. নিজ দেশের সরকারী চাকুরীতে সমান সুযোগ লাভের অধিকার প্রত্যেকের‌ই রয়েছে।+
৩. জনগণের ইচ্ছা‌ই হবে সরকারের শাসন ক্ষমতার ভিত্তি; এ‌ই ইচ্ছা নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যক্ত হবে; গোপন ব্যালট কিংবা সমপর্যায়ের কোন অবাধ ভোটদান পদ্ধতিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।+

ধারা ২২

সমাজের সদস্য হিসেবে প্রত্যেকের‌ই সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার আছে। জাতীয় প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সংগঠন ও সম্পদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রত্যেকের‌ই আপন মর্যাদা এবং ব্যক্তিত্বের অবাধ বিকাশের জন্য অপরিহার্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারসমূহ আদায়ের অধিকার রয়েছে।+

ধারা ২৩

১. প্রত্যেকের‌ই কাজ করার, স্বাধীনভাবে চাকুরীবেছে নেবার, কাজের ন্যায্য এবং অনুকূল পরিবেশ লাভ করার এবং বেকারত্ব থেকে রক্ষিত হবার অধিকার রয়েছে।+
২. কোনরূপ বৈষম্য ছাড়া সমান কাজের জন্য সমান বেতন পাবার অধিকার প্রত্যেকের‌ই আছে।+
৩. কাজ করেন এমন প্রত্যেকের‌ই নিজের এবং পরিবারের মানবিক মর্যাদার সমতুল্য অস্তিত্বের নিশ্চয়তা দিতে পারে এমন ন্যায্য ও অনুকূল পারিশ্রমিক লাভের অধিকার রয়েছে; প্রয়োজনবোধে একে অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাদি দ্বারা পরিবধিত করা যেতে পারে।+
৪. নিজ স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রত্যেকের‌ই ট্রেড ই‌উনিয়ন গঠন এবং তাতে যোগদানের অধিকার রয়েছে।+

ধারা ২৪

প্রত্যেকের‌ই বিশ্রাম ও অবসরের অধিকার রয়েছে; নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে বেতনসহ ছুটি এবং পেশাগত কাজের যুক্তিসঙ্গত সীমা‌ও এ অধিকারের অন্তর্ভূক্ত।+

ধারা ২৫

১. খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিত্‍সা ও প্রয়োজনীয় সমাজ কল্যাণমূলক কার্যাদির সুযোগ এবং এ সঙ্গে পীড়া, অক্ষমতা, বৈধব্য, বার্ধক্য অথবা জীবনযাপনে অনিবার্যকারণে সংঘটিত অন্যান্য অপারগতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং বেকার হলে নিরাপত্তার অধিকার সহ নিজের এবং নিজ পরিবারের স্বাস্থ্য এবং কল্যাণের জন্য পর্যাপ্ত জীবনমানের অধিকার প্রত্যেকের‌ই রয়েছে।+
২. মাতৃত্ব এবং শৈশবাবস্থায় প্রতিটি নারী এবং শিশুর বিশেষ যত্ন এবং সাহায্য লাভের অধিকার আছে। বিবাহবন্ধন-বহির্ভূত কিংবা বিবাহবন্ধনজাত সকল শিশু অভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা ভোগ করবে।+

ধারা ২৬

১. প্রত্যেকের‌ই শিক্ষালাভের অধিকার রয়েছে। অন্ততঃপক্ষে প্রাথমিক ও মৌলিক পর্যায়ে শিক্ষা অবৈতনিক হবে। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হবে। কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সাধারণভাবে লভ্য থাকবে এবং উচ্চতর শিক্ষা মেধার ভিত্তিতে সকলের জন্য সমভাবে উন্মুক্ত থাকবে।+
২. ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ এবং মানবিক অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা-সমূহের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে শিক্ষা পরিচালিত হবে। শিক্ষা সকল জাতি, গোত্র এবং ধর্মের মধ্যে সমঝোতা, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়াস পাবে এবং শান্তিরক্ষার স্বার্থে জাতিসংঘের কার্যাবলীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।+
৩. কোন ধরনের শিক্ষা সন্তানকে দে‌ওয়া হবে, তা বেছে নেবার পূর্বাধিকার পিতামাতার থাকবে।+

ধারা ২৭

১. প্রত্যেকের‌ই সমষ্টিগত সাংস্কৃতিক জীবনে অংশগ্রহণ করা, শিল্পকলা উপভোগ করা এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও তার সুফল সমূহে অংশীদার হ‌ওয়ার অধিকার রয়েছে।+
২. বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শিল্পকলা ভিত্তিক কোন কর্মের রচয়িতা হিসেবে নৈতিক ও বৈষয়িক স্বার্থ সংরক্ষণের অধিকার প্রত্যেকের‌ই থাকবে।+

ধারা ২৮

এ ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত অধিকার ও স্বাধীনতাসমূহের বাস্তবায়ন সম্ভব এমন একটি সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় অংশীদারীত্বের অধিকার প্রত্যেকের‌ই আছে।+

ধারা ২৯

১. প্রত্যেকের‌ই সে সমাজের প্রতি পালনীয় কর্তব্য রয়েছে, যে সমাজে‌ই কেবল তাঁর আপন ব্যক্তিত্বের স্বাধীন এবং পূর্ণ বিকাশ সম্ভব।+
২. আপন স্বাধীনতা এবং অধিকারসমূহ ভোগ করার সময় প্রত্যেকে‌ই কেবলমাত্র ঐ ধরনের সীমাবদ্ধতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন যা অন্যদের অধিকার ও স্বাধীনতাসমূহ নিশ্চিত করা এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নৈতিকতা, গণশৃংখলা ও সাধারণ কল্যাণের ন্যায়ানুগ প্রয়োজন মেটাবার জন্য আ‌ইন দ্বারা নির্নীত হবে।+
৩. জাতিসংঘের উদ্দেশ্য ও মূলনীতির পরিপন্থী কোন উপায়ে এ অধিকার ও স্বাধীনতাসমূহ ভোগ করা যাবে না।+

ধারা ৩০

কোন রাষ্ট্র, গোষ্ঠী বা ব্যক্তি এ ঘোষণাপত্রের কোন কিছুকে‌ই এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন না, যার বলে তারা এ‌ই ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত অধিকার ও স্বাধীনতাসমূহ নস্যাত্‍ করতে পারে এমন কোন কাজে লিপ্ত হতে পারেন কিংবা সে ধরনের কোন কাজ সম্পাদন করতে পারেন।

Sunday, February 16, 2020

Pronoun reference rules

Pronoun Reference
ছোট ভাই-বোনেরা,আজকে আমি তোমাদের সাথে Pronoun Reference এর ব্যাপারে শেয়ার করব,তাইলে আর কথা না বাড়িয়ে মুল আলোচনায় চলে যাই। , আমরা সবাই জানি কোন Sentence এ Noun এর পরিবর্তে যা ব্যাবহার হয় তাই হলো Pronoun। কোন Sentence এ Pronoun ব্যাবহার করলে তা শ্রুতিমধুর হয়। কিন্তু অনেকসময় কোনো Sentence এ একাধিক Noun থাকলে Pronoun টি কোন Noun কে নির্দেশ করছে তা বোঝা যায় না। নিচের Sentence টি লক্ষ্য করো;
I went to the shop to buy popcorn, but it didn’t open.
এখানে It (Pronoun) টি দ্বারা কোন Noun টিকে বোঝানো হয়েছে তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। Shop টি Open না হতে পারে আবার Popcorn এর প্যাকেটটিও Open না হয়ে পারে। Sentence এ Pronoun এর এই ধরণের অস্পষ্টতাকে বলা হয় Unclear Pronoun reference।
কোনো Sentence এ Pronoun টি যে Noun এর পরিবর্তে ব্যাবহার করা হয়েছে তাকে সঠিকভাবে নির্দেশ করা খুবই জরুরি। Pronoun এর Noun কে স্পষ্টভাবে নির্দেশ করার নিয়মই হচ্ছে Pronoun Reference.
Pronoun Reference এর নিয়মগুলো সম্পর্কে জানার আগে আসো দেখে নেই Number ও Person অনুযায়ী Pronoun এর ব্যবহার।
 Rule No 1
Pronoun সবসময় তার আগের Noun টির Number অনুযায়ী বসবে।
Incorrect: Everyone is trying their best to win the match
এখানে “their” – Pronoun টির আগে বসা Noun টি হলো Every one, যা একটি Singular word। তাই উপরের Sentence এ “their” এর পরিবর্তে “his/her” বসবে।
Correct: Everyone is trying his best to win the match.
 Rule No 2
Pronoun সবসময় তার আগের Noun টির Person অনুযায়ী বসবে।
Incorrect: If you want to maintain good health, we must walk in the morning.
Sentence টি Incorrect. কেননা Pronoun এর আগের Noun টি হলো 2nd person. তাই Pronoun হিসেবে “we” এর পরিবর্তে “You” বসবে।
Correct: If you want to maintain a good health, you must walk in the morning
“Who” শন্দটি যখন Relative Pronoun হিসেবে ব্যবহার হয় তখন তা কোন ব্যাক্তিকে নির্দেশ করে।
Incorrect: Messi is someone which scores goals on a regular basis.
Correct: Messi is someone who scores goals on a regular basis.
 (3)কিন্তু, “Which/that” শন্দগুলো যখন Relative Pronoun হিসেবে ব্যাবহার হয় তখন তা কোন বস্তু/প্রানীকে নির্দেশ করে।
Incorrect: Doel is a beautiful bird who is also the national bird of Bangladesh.
Correct: Doel is a beautiful bird which/that is also the national bird of Bangladesh.
 Rule No 4
দুটি Singular Noun যদি “and” দ্বারা যুক্ত থাকে তবে তাদের পরিবর্তে যে Pronoun টি ব্যবহার হয় তা Plural হবে।
Incorrect: Sourav & Ridwan are very serious about his studies.
Correct: Sourav & Ridwan are very serious about their studies.
কিন্তু, “and” দ্বারা যুক্ত দুটি Singular noun এর পূর্বে যদি “Every/Each” শব্দগুলো থাকে তবে এদের পরিবর্তে ব্যবহার করা Pronoun টি Singular হবে।
Incorrect: Every Doctor & every Nurse should do their duty.
Correct: Every Doctor & every Nurse should do his duties.
 Rule No 5
দুটি Singular Noun যদি Either….or বা Neither …nor বা or দ্বারা যুক্ত থাকে তবে এদের পরিবর্তে Singular Noun ব্যবহার হবে ।
Incorrect: Either Murphy or Pena will complete their mission
Correct: Either Murphy or Pena will complete his mission
কিন্তু, একটি Singular Noun ও একটি Plural যদি nor বা or দ্বারা যুক্ত থাকে তবে এদের পরিবর্তে Plural Noun ব্যবহার হবে ।
Incorrect: Either the teachers or the Headmaster has succeeded in his attempt.
Correct: Either the teachers or the Headmaster has succeeded in their attempt.
Click the right answer
 Rule No 6
Incorrect: I, you and he are friends
Correct: You, he and I are friends
 Rule No 7
Collective Noun যদি একসাথে কাজ করছে বোঝায় তবে Singular Noun ব্যবহার হয়।
The jury has decided its judgement.
এখানে, Jury এর সবাই একত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই Single Pronoun ব্যাবহার হয়েছে।
কিন্তু, Collective Noun যদি একত্রে কাজ করে না বোঝা যায়, তবে অবশ্যই Plural Noun ব্যবহার হবে।
The jury were divided in their opinion.
এখানে, Jury এর সবাই আলাদা আলাদা সিদ্ধান্তে ভাগ হয়ে গিয়েছে, তাই Plural Pronoun ব্যবহার করা হয়েছে।এগুলো পড়লে, মোটামুটি হবে।
Source: Internet